
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ভোটকেন্দ্র তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে। জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে ৮৬টি ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে আপত্তি দাখিল করেছেন। এ বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ৯ অক্টোবর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামের ১৬ আসনে খসড়া ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৫৯টি এবং বুথের সংখ্যা ১২ হাজার ৬৫৬টি। এর মধ্যে আপত্তি উঠেছে ৮৬টি ভোটকেন্দ্র নিয়ে।
চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসন এবং চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতাকনিয়া আংশিক) নিয়ে কোনো আপত্তি না আসলেও অন্যান্য আসনগুলো নিয়ে আপত্তি আসে।
জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি আপত্তি জমা পড়েছে চট্টগ্রাম-১২(পটিয়া) আসনে ১৮টি। এরপর চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-পাহাড়তলী-খুলশী) আসনের আপত্তি জমা পড়েছে ১০টি। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনের আপত্তি জমা পড়েছে ১০টি। চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও চসিকের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড) এবং চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের আপত্তি জমা পড়েছে ১টি করে। আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ২০ অক্টোবর চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ জানিয়েছেন, ‘খসড়া তালিকা প্রকাশের পর রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ থেকে কিছু কেন্দ্র নিয়ে আপত্তি এসেছে। ৯ অক্টোবর শুনানিতে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। যৌক্তিক মনে হলে সংশোধন আনা হবে।’