
চলতি বছরের প্রথমদিকে আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে ব্ল্যাকমেইল করে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবির অভিযোগ ওঠে। পরে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলায় তাঁকে বিশেষ আইনে গ্রফতার করা হয়। মামলার শুনানিতে আদালতে ওই কূটনীতিককে নিজের স্বামী বলে দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের একটি ছবি প্রকাশ করে মেঘলা আলম লিখেছেন, ‘আজ ২ অক্টোবর আমার জন্মদিন। আজ সেই দিনও, যেদিন সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁর হত্যাকাণ্ড বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছিল। প্রতি বছর, এই তারিখ আমাদের মনে করিয়ে দেয় সত্য বলার ভঙ্গুরতা এবং ক্ষমতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসের কথা। কী অদ্ভুতভাবে মিলে গেল!’
মানহানির অভিযোগ তুলে এই মডেল বলেন, ‘আজও মেঘনা আলমের সত্য মুছে দিতে, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মানহানিকর কথা ছড়াতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে বাংলাদেশ সরকারের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত গোষ্ঠী। কিন্তু মেঘনা আলম নির্ভয় অটুট।’
মেঘনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘আজও এক সাবেক সৌদি রাষ্ট্রদূতের পরিবার আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। কারণ সে আমাকে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এবং ভালোবাসার ভান করে কীভাবে আমাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল, তা লুকাতে চাইছে।’
সবশেষে মেঘনা লিখেছেন, ‘কিন্তু ইতিহাস এবার ভিন্ন হবে। মহান সৌদি আরব তার বাদশাহ ক্রাউন প্রিন্স আমাকে সমর্থন ও সুরক্ষা দেবেন, কারণ তারা কোনো রাষ্ট্রদূতের খেয়াল-খুশি অনুযায়ী কাজ করেন না। যারা তাঁদের পদ ব্যবহার করে নারীদের বোকা বানায়। তারা সৌদি আরবের সম্মান রক্ষা করবেন নারীদের সুরক্ষা দিয়ে।’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট মেঘনা তার নিজের জিম্মায় চাইলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।