
দীর্ঘদিন পর ফের চালু হচ্ছে মাদ্রাসার বৃত্তি পরীক্ষা। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে ইবতেদায়ি ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ইবতেদায়ি পর্যায়ের বৃত্তি পরীক্ষা ছয়টি বিষয়ে পাঁচ পত্রে অনুষ্ঠিত হবে। কোরআন মজিদ, আকাইদ ও ফিকহ, আরবি (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র), বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত ও বিজ্ঞান (এক পত্র) থাকবে পরীক্ষায়। প্রতিটি পত্রের পূর্ণমান ১০০। সম্ভাব্য পরীক্ষার তারিখ ২১, ২২, ২৩, ২৪ ও ২৮ ডিসেম্বর। বোর্ড অনুমোদিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি ও দাখিল মাদ্রাসাসংলগ্ন ইবতেদায়ি শাখার পঞ্চম শ্রেণির সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাছাই করে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান জানিয়েছেন, বিস্তারিত পাঠ্যক্রম ও মানবণ্টন শিগগির প্রকাশ করা হবে।
অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআইসংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীও এ সময় বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে। কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পাবে না। প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা হবে ২১–২৪ ডিসেম্বর, চার পত্রে মোট ৪০০ নম্বরের।
এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় অষ্টম শ্রেণির জন্য জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালুরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী বাছাই করে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে।
২০০৮ সালের পর থেকে ইবতেদায়ি বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ ছিল। প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে চালু হয় পিইসি পরীক্ষা। ২০২২ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ফের বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়, যার ভিত্তিতে ২০২৩ সালে ৮২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছিল।
আপনি চাইলে আমি এখন এই নিউজটির সংক্ষিপ্ত হেডলাইন সংস্করণও তৈরি করে দিতে পারি।